January 19, 2021
ব্লাড ক্যান্সার ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
ক্যান্সার শব্দটাই একটি আতঙ্কের বিষয়। শুনলেই কেমন আঁতকে উঠতে হয়। সেটার কারণ হচ্ছে ক্যান্সারেই মৃত্যু এমনটা আগে হত। তবে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার কারণে মানুষের মনে ক্যান্সারভীতিটা আর আগের মত নেই। তাই ব্লাড ক্যান্সার হোক আর যে ক্যান্সারই হোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য হওয়া সম্ভব।
ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদঃ
১. শ্বেতকণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সারকে লিউকেমিয়া ব্লাড ক্যান্সার বলে। এই ধরনের ব্লাড ক্যান্সার তিন ধরনের হয়ে থাকে।
- একিউট মাইলোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া
- একিউট লিমফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া
- ক্রনিক লিমফোসাইটিক লিউকেমিয়া
২. লসিকা গ্রন্থি থেকে সৃষ্ট এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সারকে লিমফোমা বলে। এই ধরনের ব্লাড ক্যান্সার ২ রকমের হয়ে থাকে।
- হজকিন ও নন হজকিন লিমফোমা,
- লিমফোব্লাস্টিক লিমফোমা ইত্যাদি।
৩. মাইলোমা ও প্লাজমা সেল লিউকেমিয়া প্লাজমা সেল থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার।
ব্লাড ক্যান্সারের কারণঃ
ব্লাড ক্যান্সারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো কেমিক্যাল। এরপর ভাইরাস, পরিবেশগত রেডিয়েশন। আর আগেই বলেছি জেনেটিক কারণ।
ব্লাড ক্যান্সারের উপসর্গঃ
- স্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা
- খিদে না পাওয়া, বমি বমি ভাব
- অপ্রত্যাশিত রকমের ওজন কমে যাওয়া
- রাতে ঘামা
- হাড় ও সন্ধিস্থলে ব্যাথা
- তলপেটে অস্বস্তি
- মাথাব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
- বার বার সংক্রমণ
- খসখসে চামড়া ও ফুসকুড়ি
- গলা, বগল ও কুঁচকির লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
চিকিৎসা:
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্যান্সারের ধরন, আক্রান্ত মানুষটির বয়স, রোগের ব্যাপ্তি, রোগ কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে এবং আরও কয়েকটি শর্তের ওপরে নির্ভর করে। এই রোগের কিছু অত্যাধুনিক চিকিৎসা হল-
• স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন- স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের ফলে শরীরে স্বাস্থ্যকর রক্ত উৎপাদক স্টেম সেলের আমদানী ঘটে। স্টেম সেল বোন ম্যারো, বহমান রক্ত এবং আমবিলিক্যাল কর্ড সেল থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
• কেমোথেরাপি- কেমোথেরাপির সাহায্যে অ্যান্টি-ক্যান্সার ড্রাগ শরীরে দেওয়া হলে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়। ব্লাড ক্যান্সারের কেমোথেরাপিতে অনেক সময় একাধিক ওষুধকে একত্রে দেওয়া হয়। বহু ক্ষেত্রে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টের আগে এই চিকিৎসা করা হয়।
• রেডিয়েশন থেরাপি– ক্যান্সার সেল ধ্বংস করার জন্য অথবা রোগীর যন্ত্রণা ও অস্বাচ্ছন্দ্য দূর করতে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়। এই থেরাপিও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টের আগে দেওয়া হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
একুশ শতকের পৃথিবীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে হোমিও চিকিৎসাও ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। উন্নত হয়েছে হোমিও ওষুধের গুণগতমান। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে ওষুধ প্রয়োগ করলে হোমিও চিকিৎসায় দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। ক্যান্সার চিকিৎসায় হোমিও মেডিসিন কার্যকর। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে ইনশাল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার সমস্যার জন্য আজই অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।